ঈশ্বর মানুষকে শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তাকে দিয়েছেন ঐশ্বরিক গুণ বিশ্বাস, আশা ও প্রেম। জন্মের পর মানুষ পরিবারের স্নেহ-ভালোবাসা ও সেবাযত্নে বেড়ে ওঠে। তারপর সে সমাজ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষায় বড় হতে থাকে। পরিবার, সমাজ ও বিদ্যালয় থেকে সে অর্জন করে অনেক মানবীয় গুণ ও মূল্যবোধ। মানুষ তার ঐশ্বরিক ও মানবীয় গুণ দিয়ে সৃষ্টিকর্তার পূজা অর্চনা করে। পিতা-মাতা, আত্মীয়- স্বজন ও গুরুজনদের শ্রদ্ধা, সম্মান করে এবং ভালোবাসে।
প্রমা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তার মা-বাবা দুজনই চাকুরি করেন। প্রমা খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠে মায়ের কাজে সাহায্য করে। সে প্রতিদিন পড়া শিখে বিদ্যালয়ে যায়। প্রত্যেক শিক্ষকের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করার সুযোগ নেয়। সে শিক্ষকদের ছোট ছোট কাজে সাহায্য করে। বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষার্থীর সাথে মিশতে চেষ্টা করে। তার সহপাঠীদের সে ভালোবাসে। দরিদ্র সহপাঠীদের সে পেন্সিল, কলম ও টিফিন দিয়ে প্রায়ই সাহায্য করে থাকে। বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী সকলের সঙ্গে সে বিনয়ী ও শ্রদ্ধাশীল আচরণ করে। বিদ্যালয়ের সবাই প্রমাকে পছন্দ করে ও ভালোবাসে।
ক) সঠিক উত্তরে টিক (✓) চিহ্ন দেই।
i) ঈশ্বর মানুষকে কী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন? শ্রেষ্ঠ জীব/ রাজা / জমিদার।
ii) ঈশ্বর মানুষকে কী কী ঐশ্বরিক গুণ দিয়েছেন? প্রেম-আশা-মমতা / বিশ্বাস-আশা-দয়া/ বিশ্বাস-আশা-প্রেম।
iii) মানুষ কোথা থেকে তার মানবীয় গুণ অর্জন করে? পরিবার-সমাজ-বিদ্যালয়/অফিস-আদালত/ পরিবার-হাট-বাজার।
iv) মানুষ কী দিয়ে তার সৃষ্টিকর্তার পূজা অর্চনা করে? জ্ঞান-বুদ্ধি/ অর্থ-বিত্ত/ ঐশ্বরিক ও মানবিক গুণ দিয়ে।
খ) নিজে করি।
প্রমার যে যে গুণ আছে তার মধ্যে ৫টি গুণ লিখি।
i)
| |
ii)
| |
iii)
| |
iv)
| |
v)
|
এ পাঠে শিখলাম
– মানবীয় গুণ অর্জন করে সকলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া সম্পর্কে জেনেছি।
আরও দেখুন...